পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে শিশুকে দিন এই সব কম্বিনেশন ফুড
দুধের সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। অ্যাসিড হয়ে যাবে। ভাজা খেয়ে জল খেলে বিপদ। দুধের পর টক খেলে বদহজম হবে। এ রকম কথাগুলো আমরা শুনে বড় হয়েছি। কোন খাবারের সঙ্গে কোনটা খাওয়া উচিত নয় সে ব্যাপারে বাঙালি মোটামুটি সচেতন। আবার এ রকমও অনেক কম্বিনেশন রয়েছে যেগুলো শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারি। জেনে নিন এমনই কিছু ফুড কম্বিনেশন যা শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।
কলা ও ইয়োগার্ট
ফলের সঙ্গে অন্য কিছু না খাওয়ার কথাই চিকিত্সকরা বলে থাকেন। তবে সব ফলের সঙ্গে সব খাবারের কম্বিনেশন কিন্তু মোটেই খারাপ নয়। মেলন জাতীয় ফলের সঙ্গে অন্য কিছু খাওয়া উচিত না হলেও ডায়টিশিয়ানরা জানাচ্ছেন কলা ও ইয়োগার্ট কিন্তু উপকারি কম্বিনেশন। দুটো খাবারের মধ্যেই থাকে প্রোবায়োটিক। তাই কলা ও ইয়োগার্ট এক সঙ্গে খেলে প্রোবায়োটিকের মিশ্রণ শরীরে পৌঁছয়। পটাশিয়াম আর প্রোটিন পুষ্টি জোগাতে ও পেশীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
হজমের সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে কলা খেতে বারণ করেন ডাক্তাররা। সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ইয়োগার্টের সঙ্গে কলা খেতে পারেন। এ ছাড়াও আমন্ড মিল্ক, সয় মিল্ক, কোকোনাট মিল্ক ইয়োগার্টের সঙ্গে খেতে পারেন। ইয়োগার্টের সঙ্গে কলা খেলেও একই উপকার পাবেন।
স্ট্রবেরি ও পালং শাক
ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে এবং পালং শাক আয়রনের আধার। যদি শরীরে আয়রনের অভাব থাকে তা হলে এই কম্বিনেশন আপনাকে রক্তাল্পতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।বেরি ও ওটমিল
বেরিতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ওটমিল আয়রন ও বি ভিটামিনের পাশাপাশি আয়রনের উত্স। ভিটামিন সি বেরি থেকে আয়রন ও জল শোষণ করে শরীরে ফাইবাব প্রক্রিয়াকরণে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে ওটমিলের সঙ্গে ব্লুবেরি ও সামান্য দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। খেতে যেমন ভাল লাগবে, তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
লেবু ও শাক
যে কোনও ধরনের সবুজ শাকের সঙ্গে লেবু খুবই ভাল কম্বিনেশন। লেবু ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ, শাক আয়রনে। তাই একই নিয়মেই লেবু শাকে থাকা আয়রন শোষণে সাহায্য করে। লেবুর রস স্যালাড যেমন সুস্বাদু করে তোলে, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি।
মাছ ও হলুদ
বাঙালি হলুদ ছাড়া মাছ রান্না করার কথা ভাবতেই পারে না। হলুদ যে শুধু মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করে বা স্বাদ বাড়ায় তাই নয়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে মাছ-হলুদের কম্বিনেশন। মাছে থাকা এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে হলুদের কম্বিনেশন শরীরে টিউমরের বৃদ্ধি ও ক্যানসার কোষের ছড়িয়ে পড়া রুখতে পারে। এ ছাড়াও হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বাড়িয়ে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
0 comments:
Post a Comment