বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
অপরূপ শ্যামলিমা বেষ্টিত ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটারএকটি জনপদের নাম বাংলাদেশ ।পাদ্মা,মেঘনা ও যমুনার উর্বর পলি বিধৌত সমতল জনপদ ।যার দক্ষিন উপকূলজুরে বিরাট ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ।রয়েল বেঙ্গলটাইগারের আবাসস্থল যা পৃথিবীতে বিরল ।আজ আমরাবাংলাদেশের ১০ টি Facts তুলে ধরার চেস্টা করবো।
১। বাংলাদেশের official নাম the People's Republic of Bangladesh। "Country of Bengal" যা বাংলা ভাষায় দারায় বাংলাদেশ
। ভূ-রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্বসীমান্তে ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মায়ানমার ও দক্ষিণ উপকূলের দিকেবঙ্গোপসাগর অবস্থিত। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভৌগোলিকভাবে একটিউর্বর ব-দ্বীপের অংশ বিশেষ। পার্শ্ববর্তী দেশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ওত্রিপুরা-সহ বাংলাদেশ একটি ভৌগোলিকভাবে জাতিগত ও ভাষাগত"বঙ্গ" অঞ্চলটির মানে পূর্ণ করে। "বঙ্গ" ভূখণ্ডের পূর্বাংশ পূর্ব বাংলা নামেপরিচিত ছিল, যা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌমদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পৃথিবীতে যে ক'টি রাষ্ট্র জাতিরাষ্ট্রহিসেবে মর্যাদা পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশের বর্তমান সীমান্ত তৈরি হয়েছিল ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে যখন ব্রিটিশঔপনিবেশিক শাসনাবসানে, বঙ্গ (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) এবং ব্রিটিশ ভারতবিভাজন করা হয়েছিল। বিভাজনের পরে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চলতখন পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যেটি নবগঠিত দেশ পাকিস্তানেরপূর্ব অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। পাকিস্তান অধিরাজ্যেথাকাকালীন ‘পূর্ব বাংলা’ থেকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’-এ নামটি পরিবর্তিত করাহয়েছিল। শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবেপ্রতিষ্ঠিত হয়।
২।বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগলোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল।এদেশের রপ্তানি আয়ের ১টি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে কৃষিপণ্য থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের২০% অবদান হলো কৃষির।
৩। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হলেও বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পেরঅগ্রগতি চোখে পরার মত। ১৯৫০ সালের দিকে পশ্চিমা দেশগুলোতেতৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশ ঘটে। ১৯৭৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ হতেউন্নত দেশগুলিতে আরএমজি পন্যের রপ্তানি নিয়ন্ত্রন করতে মাল্টিফাইবার এগ্রিমেন্ট (এমএফএ) নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এইচুক্তিতে উন্নয়নশীল দেশ হতে উন্নত দেশে রফতানি ৬% হারে প্রতি বছরবৃদ্ধি পাবে তা বলা হয়। আশির দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশআরএমজি খাতে বৈদেশিক সাহায্য পাওয়া শুরু করে। এই সময়টাতেকিছু বাংলাদেশি একটি কোরিয়ান কোম্পানি হতে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণলাভ করে। প্রশিক্ষণ শেষে এই কর্মীগণ দেশে ফিরে অন্যের কারখানাতেবা নিজের উদ্যোগেই কাজ শুরু করে। ১৯৮০’র দশকের গোড়ার দিকেবাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিয়মিতভাবে ইয়োরোপ ও আমেরিকাতেরপ্তানী হতে শুরু করে। বিংশ শতাব্দীর শেষ অবধি বাংলাদেশের তৈরিপোশাক প্রধানত উত্তর আমেরিকা ও ইয়োরোপে রপ্তানি হয়েছে , বিশেষ
২০০৫ পর্যন্ত কোটা প্রথার কারণে বাংলাদেশ পোশাকরপ্তানীর ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা ভোগ করেছে। লিস্টডিভালপড কান্টি হিসেবে ‘রুলস অব
৪। বিশ্বে বর্তমানে জনসংখ্যা ৭৩০ কোটিতে পৌঁছেছে। বাংলাদেশেরজনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ৯ লাখ ৯৬ হাজার। ১৩১ কোটি জনসংখ্যানিয়ে প্রতিবেশি ভারত বিশ্বের সবচেয়ে
গত ১০ বছর আগে বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক২৪ হলেও বর্তমানে তা কমে ১ দশমিক ১৮তে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা সমীক্ষা-২০১৫-এর প্রতিবেদনেএ তথ্য জানানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশের ২০১০ সালেরজাতীয় জনসংখ্যা সমীক্ষা এবং
সমীক্ষা অনুয়াযী, মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ (৪৪০কোটি) এশিয়ায়, আফ্রিকায় ১৬ শতাংশ (১২০ কোটি),ইউরোপে ১০ শতাংশ (৭৩ দশমিক ৮ কোটি), লাতিনআমেরিকা ও ক্যারিবিয়ানে ৯ শতাংশ (৬৩ দশমিক ৪কোটি), উত্তর আমেরিকায় ৫ শতাংশ (৩৫ দশমিক ৮ কোটি)এবং ওশেনিয়ায় ৩ দশমিক ৯ কোটি মানুষ বাস করে।
সমীক্ষায় বলা হয়, জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশেরঅবস্থান আটে। দেশটির মোট জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৮কোটি ১২ লাখ ৭৭ হাজার নারী আর পুরুষ ৭ কোটি ৯৭লাখ ১৯ হাজার। নারী-পুরুষের গড় ১০২: ১০০। জনসংখ্যাবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৭৮।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। বাংলাদেশ ওভারতের প্রায় ১০০০০ বর্গকিলেমিটার জায়গাজুড়ে এ বনবিস্তৃত। বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৬০১৭বর্গকিলোমিটার। ৪০০ খাল, নদী-নালা এবং খাঁড়িময় জলজঅঞ্চল নিয়ে গঠিত সুন্দরবনের প্রতিবেশব্যবস্থা। এ বনে প্রায়৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদের দেখা মেলে। বনের প্রধান উদ্ভিদসুন্দরী। সুন্দরী ছাড়াও এখানকার উল্লেখ্যযোগ্য উদ্ভিদেরমধ্যে রয়েছে- গেওয়া, গরান, গোলপাতা, বাইন, কাঁকড়া,হারগোজা, হেতাল, প্রভৃতি। ঠেসমূল, শ্বাসমূল এবং জরায়ূজঅংকুরোদগম এখানকার উদ্ভিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।সত্যিকার অর্থে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বলতে যাদের বোঝায়তাদের প্রজাতি সংখ্যা পুরো পৃথিবীতে প্রায় ৫০, যার ৩৫প্রজাতিই রয়েছে এ সুন্দরবনে। লবণের তারতম্যের ভিত্তিতেবনের বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন উদ্ভিদের প্রাধান্য লক্ষ্য করাযায়। পৃথিবীর বিখ্যাত বেঙ্গল টাইগারের সবচেয়ে বড়পপুলেশনের প্রাকৃতিক আবাস্থল এ সুন্দরবন। বাঘ ছাড়াওএখানে রয়েছে লোনাপানির কুমির, চিতল হরিণ, অসংখ্যশূকর, বানরসহ রঙ-বেরঙের অসংখ্য পাখি। প্রায় ৫০প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩২০ প্রজাতির পাখি, ৫০ প্রজাতিরসরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর এবং ৪০০ প্রজাতির মাছেরআবাসস্থল সুন্দরবন। জীববৈচিত্র্যের এমন প্রাচুর্যতার জন্যসুন্দরবন ১৯৯২ সালের ২১ মে রামসার সাইট হিসেবেস্বীকৃতি পায় এবং ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কোসুন্দরবনকে প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে। আরসুন্দরবনের সৌন্দর্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশে১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় সুন্দরবন দিবস।
পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজার।পৃথিবীরদীর্ঘতম অখন্ডিত এই সৈকত টির বৈশিষ্ট্য হলো ১২৫ কি: মি:পুরো সমুদ্র সৈকতটি বালুকা ময়। কাদার কোন আস্তিত্ব নেইএই সৈকতে।।।প্রাকৃতিক সুন্দরর্যে এই বিশাল সাম্রাজ্যটি
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।এই বালুকাময়সৈকতটি কক্সবাজার শহর থেকে বদর মকাম পর্যন্ত সুবিশালএলাকা জুরে বিস্তার লাভ করে আছে। কক্সবাজার শহরবিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠির আবাসস্থল হওয়ার কারনে শহর টিআরও সুন্দরর্য মন্ডিত ও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে।কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত গুলোর মধ্য অন্যতম প্রধানসৈকত হচ্ছে লাবনী পয়েন্ট।এ সৈকত টি প্রাকৃতিক ও কৃত্তিমসুন্দরর্য মিলিয়ে যেন এক সর্গ রাজ্যে পরিনিত হয়েছে। এসৈকতে টি প্রতিনিয়ত সুন্দরর্যের পরিবর্তন ঘটে। কক্সবাজারসমুদ্র সৈকতটি মায়াবিনী রমনীর মতো পর্যটকদেরর তারপ্রতি আকর্শিত করে থাকে। যে আকর্শনে দেশ-বিদেশেরপর্যটক রা বার বার এই সৈকত রুপি ময়াবিনী
কন্যার কাছে ছুটে আসে আলিঙ্গন করতে।।। কক্সবাজারসমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া বাংলাদেশের সর্বত্তম ওস্বাস্থ্যকর।।।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।এই বালুকাময়সৈকতটি কক্সবাজার শহর থেকে বদর মকাম পর্যন্ত সুবিশালএলাকা জুরে বিস্তার লাভ করে আছে। কক্সবাজার শহরবিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠির আবাসস্থল হওয়ার কারনে শহর টিআরও সুন্দরর্য মন্ডিত ও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে।কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত গুলোর মধ্য অন্যতম প্রধানসৈকত হচ্ছে লাবনী পয়েন্ট।এ সৈকত টি প্রাকৃতিক ও কৃত্তিমসুন্দরর্য মিলিয়ে যেন এক সর্গ রাজ্যে পরিনিত হয়েছে। এসৈকতে টি প্রতিনিয়ত সুন্দরর্যের পরিবর্তন ঘটে। কক্সবাজারসমুদ্র সৈকতটি মায়াবিনী রমনীর মতো পর্যটকদেরর তারপ্রতি আকর্শিত করে থাকে। যে আকর্শনে দেশ-বিদেশেরপর্যটক রা বার বার এই সৈকত রুপি ময়াবিনী
কন্যার কাছে ছুটে আসে আলিঙ্গন করতে।।। কক্সবাজারসমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া বাংলাদেশের সর্বত্তম ওস্বাস্থ্যকর।।।
ইনানী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন আর একটিঅপরুপ । এই সৈকত টি কক্সবাজার থেকে ৩৫কিঃমিঃ দক্ষিণে অবস্থিত।
৭। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধএই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল।একসময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও আগেঅর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিলপ্রত্নতাত্ত্বিক ভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৬ সালে এটি সার্কেরসাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা হয়।
প্রাচীর বেষ্টিত এই নগরীর ভেতর রয়েছে বিভিন্ন আমলের প্রত্নতাত্ত্বিকনিদর্শন। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ স্থান পরাক্রমশালী মৌর্য, গুপ্ত, পাল ওসেন শাসকবর্গের প্রাদেশিক রাজধানী ও পরবর্তীকালে হিন্দু সামন্তরাজাদের রাজধানী ছিল। তৃতীয় খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে পঞ্চদশ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্তঅসংখ্য হিন্দু রাজা ও অন্যান্য ধর্মের রাজারা রাজত্বকরেন। মহাস্থানগড়ের অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলারঅন্তর্গত। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কি.মি. উত্তরে করতোয়া নদীরপশ্চিম তীরে গেলে এই শহরের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়৷।
বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ ৬৩৯ থেকে ৬৪৫ খ্রিষ্টাব্দেরমধ্যবর্তী সময়ে পুন্ড্রনগরে এসেছিলেন। ভ্রমণের ধারাবিবরণীতে তিনিতখনকার প্রকৃতি ও জীবনযাত্রার উল্লেখ করে বর্ণনা দেন। বৌদ্ধ শিক্ষারজন্য প্রসিদ্ধ হওয়ায় চীন ও তিব্বত থেকে ভিক্ষুরা তখন মহাস্থানগড়েআসতেন লেখাপড়া করতে৷ এরপর তাঁরা বেরিয়ে পড়তেন দক্ষিণ ও পূর্বএশিয়ার বিভিন্ন দেশে। সেখানে গিয়ে তাঁরা বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষার বিস্তারঘটাতেন৷
রাজা পরশুরামকে উচ্ছেদ করে ইসলাম ধর্মের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতেআসেন ফকির বেশি আধ্যাত্মিক শক্তিধারী দরবেশ হযরত শাহ সুলতানমাহমুদ বলখী (র:) এবং তার শীষ্য। ধর্ম প্রচারক শাহ্ সুলতান বলখী (রঃ) সম্পর্কে রয়েছে আশ্চর্য কিংবদন্তি। কথিত আছে, তিনি মহাস্থানগড়অর্থাৎ প্রাচীন পুন্ড্রনগরে প্রবেশ করার সময় করতোয়া নদী পারহয়েছিলেন একটা বিশাল মাছের আকৃতির নৌকার পিঠে চড়ে।মহাস্থানগড় পৌছে তিনি ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন, প্রথমে রাজাপরশুরামের সেনাপ্রধান, মন্ত্রি এবং কিছু সাধারণ মানুষ ইসলামের বার্তাগ্রহণ করে মুসলিম হয়।
৮। বেঙ্গল টাইগার বা রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Panthera tigris tigrisবা Panthera tigris bengalensis), বাঘের একটি বিশেষ উপপ্রজাতি।বেঙ্গল টাইগার সাধারণত দেখা যায় ভারত ও বাংলাদেশে। এছাড়াওনেপাল, ভুটান, মায়ানমার ও দক্ষিণ তিব্বতের কোন কোন অঞ্চলে এইপ্রজাতির বাঘ দেখতে পাওয়া যায়। বাঘের উপপ্রজাতিগুলির মধ্যেবেঙ্গল টাইগারের সংখ্যাই সর্বাধিক। ভারত সরকারের জাতীয় ব্যাঘ্রসংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুসারে ভারতে বেঙ্গল টাইগারের বর্তমানসংখ্যা ১,৪১১।
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনেরতফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
প্রথাগতভাবে মনে করা হয়, সাইবেরীয় বাঘের পর বেঙ্গল টাইগার দ্বিতীয়বৃহত্তম উপপ্রজাতি। বেঙ্গল টাইগার উপপ্রজাতি P. tigris tigrisবাংলাদেশের জাতীয় পশু।
ভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় যে সুদর্শন বাঘ দেখা যায় তাপৃথিবীব্যাপী রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger) নামেপরিচিত। কয়েক দশক আগেও (পরিপ্রেক্ষিত ২০১০), বাংলাদেশের প্রায়সব অঞ্চলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বিচরণ ছিল। পঞ্চাশের দশকেওবর্তমান মধুপুর এবং ঢাকার গাজীপুর এলাকায় এই বাঘ দেখা যেতো; মধুপুরে সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৬২ এবং গাজীপুরে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে।বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৩০০০-এর মতো আছে, তন্মধ্যে অর্ধেকেরওবেশি ভারতীয় উপমহাদেশে। এই সংখ্যা হিসাব করা হয় বাঘের জীবিতদুটি উপপ্রজাতি বা সাবস্পিসীজের সংখ্যাসহ। ২০০৪ সালের বাঘ শুমারীঅনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৪৫০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে। তবেবিশেষজ্ঞদের ধারণা এর সংখ্যা ২০০-২৫০টির মতো। বাংলাদেশ ছাড়াওএদের বিচরণ রয়েছে ভারতের সুন্দরবন অংশে, নেপাল ও ভুটানে।
৯। ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান ধর্ম। বাংলাদেশে মুসলমান জনসংখ্যাপ্রায় ১৪৮.৬ মিলিয়ন (১৪.৮৬ কোটি), যা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলমানজন-অধ্যুষিত দেশ (ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং ভারতের পরে)। ২০১০সালের আদমশুমারী অনুসারে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায়৯০.৪% মুসলমান।
১৩ শতকের শুরুতে,মুঘলদের বাংলা বিজয় উত্তর ভারতেরঘটে ১১৯২ সালে । প্রধানত মহম্মদ ঘোরী এর অভিযানেরপরিণাম হিসাবে জায়গা নেয়। সৈয়দ শাহ নাসিরুদ্দিনইরাকের ছিলেন কিন্তু ইসলাম ছড়াতে বাংলাদেশএসেছিলেন।
১০। চা চিরসবুজ উদ্ভিদ প্রজাতি Camellia sinensis, যার শুকানোপাতা থেকে তৈরি হয় জনপ্রিয় পানীয়। এটি বাংলাদেশে মুখ্যত একটিকৃষিভিত্তিক, রপ্তানিমুখী বহুবর্ষজীবী ফসল। প্রাকৃতিক পরিবেশে চা গাছক্ষুদ্র বৃক্ষ আকারে বেড়ে ওঠে, কিন্তু পরপর ছাঁটাই ও অন্যান্য পরিচর্যার(আগা কাটা, কুঁড়ি ভাঙা, সঠিক মাত্রায় পাতা-কুঁড়ি সংগ্রহ) কারণে গাছেরসাধারণ আকৃতির পরিবর্তন হয়।
রবার্ট ব্রুস ১৮৩৪ সালে আসামের উঁচু অঞ্চলে চা গাছেরসন্ধান পান যা ভারতে চা শিল্পের ভিত্তি স্থাপন করে। চাউৎপাদনের প্রথম সংগঠিত বাণিজ্যিক প্রয়াস শুরু করেআসাম চা কোম্পানি ১৮৩৯ সালে। উনিশ শতকের প্রথমদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় চা চাষের একই সময়েবাংলাদেশেও চা চাষ চলতে থাকে। ১৮৫৫ সালে সিলেটেরচাঁদখানি পাহাড়ে আসামের স্থানীয় চা কারখানা প্রতিষ্ঠিতহয়। প্রায় একই সময়কালে খাসিয়া ও জৈন্তা পাহাড়ে বুনোচায়ের সন্ধান পাওয়া যায়। চীন থেকে আমদানিকৃত বীজ,কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেনের কতিপয় চীনা চা গাছ ওআসামের বীজ ব্যবহার করে ১৮৪০ সালে চট্টগ্রামে চা বাগানতৈরির কাজ শুরু হয়। বর্তমান বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিকচা বাগানের প্রতিষ্ঠা ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায়।১৮৬০ সালে এটি লালচাঁদ ও মার্টিংগা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
এ অঞ্চলে চা বাগান স্থাপনের অগ্রদূত ছিল ব্রিটিশরা। ১৯৪৭সালে বাংলাদেশ (তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান) ১৩৩টি চাবাগানে (৩০,৩৫০ হেক্টর) সর্বমোট বার্ষিক ১.৮৮ কোটি কেজিচা উৎপাদন করে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪৮,০০০ হেক্টরেরওঅধিক এলাকা জুড়ে ১৫৮টি চা বাগান রয়েছে এবং এসববাগান থেকে বার্ষিক ৫১,৬৫০ মে টন চা উৎপাদিত হয়।বাংলাদেশে চায়ের গড় ফলন হেক্টর প্রতি ১,১১৫ কেজিএবং বিশ্বের ৩০টি চা উৎপাদনকারী দেশের মধ্যেউৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ ৯ম স্থানে রয়েছে। উৎপন্নচায়ের অর্ধেক দেশেই ব্যবহূত হয় আর বাকি অর্ধেক রপ্তানিহয় যা থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ২০০ কোটি টাকারসমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। বাংলাদেশের চাআমদানিকারী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান,অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, চীন, সাইপ্রাস, ফ্রান্স, জার্মানি,গ্রিস, ভারত, ইরান, জাপান, জর্ডান, কাজাকস্তান, কেনিয়া,কুয়েত, সৌদি আরব, কিরগিজস্তান, ওমান, পাকিস্তান,পোল্যান্ড, রাশিয়া, সুদান, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, সংযুক্তআরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। চা-খাতবাংলাদেশের জিডিপি’র প্রায় ০.৮০% যোগান দিচ্ছে। চাশিল্পে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজারলোকের যা মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৩.৩%। বর্তমানেবাংলাদেশে মোট চা বাগানের সংখ্যা ১৬৪টি।মৌলভীবাজারে-৯১টি, হবিগঞ্জে-২৩টি, চট্টগ্রামে-২২টি,সিলেটে-২০টি, রাঙামাটিতে-১টি, ব্রাহ্মনবাড়িয়ায়-১টি,পঞ্চগড়ে-৫টি ও ঠাকুরগাঁওয়ে-১টি।