বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দুই হাজার কোটি টাকার এক বিশাল খরচের নাম

Bangabandhu-1

বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বর্তমান সরকার ও দেশবাসির মধ্যে । এ উপলক্ষে ঢাকায় আতশবাজি পোড়ান হবে ১৬ কোটি টাকার । কিন্তু এ সম্পর্কে কিছু না জানা তথ্য আপনাদের দিচ্ছি যা মিডিয়া কখনই প্রচার করে না ।


PropellerAds
  • বাংলাদেশের এই বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পে মোট ব্যয় হচ্ছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৫৪৪ টাকা এবং অবশিষ্ট এক হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংক আইচ এস বি সি। 
  • বাংলাদেশের  স্যাটেলাইটি নির্মাণ করেছে ফ্রিন্সের কোম্পানি থালেস এলিনিয়া । থালেসের সাথে চুক্তি হচ্ছে ২৪৯ মিলিয়ন ডলার । 
  • ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন Falcon 9 FT (Block 5) থেকে উৎক্ষেপণ কিরা হবে। কিন্তু বারবার তার সময় পেছানো হয়েছে এবং একবার উৎক্ষেপণ বিফল হয়েছে । 
  • বাংলাদেশের যে ধরনের স্যাটেলাইট, তার ডিজাইন খরচ ২৫ মিলিয়ন ডলার, নির্মাণ খরচ ১০ মিলিয়ন ডলার, আর উৎক্ষেপণ খরচ ৩৯ মিলিয়ন ডলার ( ছোট স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে ) । সব মিলিয়ে ৮০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে সব কাজ শেষ । অথচ এই স্যাটেলাইটের জন্য বাংলাদেশ খরচ করছে তিন গুন ২৪৯ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার কোটি টাকার মত । 
  • র বাইরে আরও ৯শ কোটি টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে তা কেউ জানেনা । জানতে পারে শেখ হাসিনা ও তার উপদেষ্টা পুত্র । 
  • বাংলাদেশের এই স্যাটেলাইটের জন্য কোনো নিজস্ব অরবিট বরাদ্দ নাই । এর আগে আইটিইউ বাংলাদেশকে নিরক্ষ রেখার ১০২ ডিগ্রী স্লট বরাদ্দ দেয়। কিন্তু প্রভাবশালি দেশের বাধার মুখে তা বাতিল হয় । বিকল্প হিসেবে ৬৯ ডিগ্রিতে স্যাটেলাইট উতখেপনের প্রস্থাব দেওয়া হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু তাতেও আপত্তি তোলে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন। পরে রাশিয়ান কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের নিজস্ব ১১৯.১ ডিগ্রির স্লট প্রায় ২৮ মিলিয়ন ডলারে ১৫ বছরের জন্য ভাড়া নেয় বাংলাদেশ। জানা গেছে, ১১৯.১ ডিগ্রির অরবিটাল স্লটটি বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে ( প্রায় ৩০ ডিগ্রি পূর্বে ) । এটা ফিলিপাইনেরও আরও গভীরে । অরবিটাল স্লট বা নিরক্ষ রেখাটি অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু হয়ে ইন্দোনেশিয়া দিয়ে ফিলিপাইনের পশ্চিমাংশ এবং ভিয়েতনামের পূর্ব দিয়ে চীন হয়ে মঙ্গোলিয়া হয়ে রাশিয়ার ওপর দিয়ে চলে গেছে। ফলে অতোদুর থেকে স্বাভাবিক ভাবেই  স্যাটেলাইট বাংলাদেশের ফুটপ্রিন্ট (ছবি) গ্রহনের সমস্যা হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারন সম্পাদক এ আর সরকার । তিনি বলেন, প্রায় ৩০ ডিগ্রি দূরে  স্যাটেলাইট বসালে বাংলাদেশ থেকে তা অ্যাঁগুলার হয়ে যাবে। অ্যাঁগুলার অবস্থান থেকে ছবি নিলে তা ভাল না হওয়ার আশঙ্খা বেশি।


Copyright © 2018 Info Bank