জেরুজালেম পুড়ছে: জুদিয়ান পাহাড়ে ভয়াবহ দাবানল

 জেরুজালেম এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে বর্তমানে ভয়াবহ দাবানল চলছে, যা ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ অগ্নিকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

🔥 দাবানলের বর্তমান অবস্থা

২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল, ইসরায়েলের জাতীয় স্মরণ দিবসে, জেরুজালেমের পশ্চিমে জুদিয়ান পর্বতমালার এস্টাওল ফরেস্টে দাবানল শুরু হয়। শক্তিশালী পূর্ব দিকের বাতাস এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাসস্থান থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। এই দাবানলে ১২,০০০ ডুনাম (প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার) এলাকা পুড়ে গেছে, এবং কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু এবং গর্ভবতী নারীও রয়েছেন। CBS News

🚒 জরুরি প্রতিক্রিয়া ও সহায়তা

ইসরায়েল সরকার জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং ১৬৩টি স্থল ফায়ার ইউনিট, ১২টি বিমান এবং সামরিক বাহিনীকে আগুন নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করেছে। আন্তর্জাতিক সহায়তার অংশ হিসেবে ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস এবং গ্রিস থেকে ফায়ারফাইটিং বিমান পাঠানো হয়েছে। The Independent

🚨 সম্ভাব্য কারণ ও তদন্ত

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, কিছু এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছে। পুলিশ পূর্ব জেরুজালেমের এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছে, যাকে একটি মাঠে আগুন লাগানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তবে, এই দাবানলের মূল কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে নির্ধারণ করা যায়নি। CBS News

🌤️ আবহাওয়া পরিস্থিতি

আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে হালকা বৃষ্টিপাত এবং বাতাসের গতি কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। তবে, উচ্চ তাপমাত্রা এবং শুষ্ক আবহাওয়া আগুনের বিস্তারকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

📷 দৃশ্যমান প্রভাব

এই দাবানলের ফলে জেরুজালেম-তেল আবিব মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে, এবং অনেক গাড়িচালক তাদের যানবাহন ফেলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেমন লাটরুন মঠ, আগুনের হুমকির মুখে পড়েছে।

এই পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে, আপনি নিম্নলিখিত ভিডিওটি দেখতে পারেন:

শিরোনাম: জেরুজালেম পুড়ছে: জুদিয়ান পাহাড়ে ভয়াবহ দাবানল

জেরুজালেমের নীরব আকাশপটে ধোঁয়া ও আগুনের ঝলকানিতে ছেয়ে গেছে, কারণ ইসরায়েলের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ দাবানল বর্তমানে জুদিয়ান পাহাড়ে বিস্তৃত হয়েছে। ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল, ইসরায়েলের জাতীয় স্মরণ দিবসে এই আগুন শুরু হয় এবং প্রায় ১২,০০০ ডুনাম (প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার) বনাঞ্চল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হয়েছে।

শুষ্ক আবহাওয়া ও পূর্ব দিকের শক্তিশালী বাতাস দাবানলকে দ্রুত ছড়িয়ে দিয়েছে, যা এস্টাওল ফরেস্ট থেকে আবাসিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের দিকে আগাতে থাকে। জেরুজালেম-তেল আবিব মহাসড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, এবং অনেক চালক তাদের গাড়ি ফেলে পালাতে বাধ্য হন।

জরুরি সেবা বিভাগ ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে। ইসরায়েল সরকার ১৬৩টিরও বেশি ভূমি দমকল ইউনিট ও ১২টি বিমান আগুন নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীও (IDF) অভিযানে যুক্ত হয়েছে। ইতালি, সাইপ্রাস, গ্রিস ও ক্রোয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা হিসেবে অগ্নিনির্বাপক বিমান পাঠানো হয়েছে।

দুর্ভাগ্যবশত, এই আগুনে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু ও গর্ভবতী নারীও রয়েছেন। কেউ কেউ ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছেন, আবার কেউ হঠাৎ করে সরিয়ে নেওয়ার সময় আহত হয়েছেন। লাটরুন মঠের মতো ধর্মীয় স্থাপনাও হুমকির মুখে পড়েছে।

কর্তৃপক্ষ আগুনের কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে কিছু এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানোর সন্দেহ করা হচ্ছে। পূর্ব জেরুজালেমের এক বাসিন্দাকে আটক করা হয়েছে, যিনি নিকটবর্তী একটি মাঠে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, সামনের দিনে তাপমাত্রা বেশি থাকবে এবং বাতাস শুষ্ক থাকবে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে। যদিও কিছু হালকা বৃষ্টির আশা করা হচ্ছে, তবুও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন।

জেরুজালেমের এই দাবানল আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের অবহেলা কীভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। একই সঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বও তুলে ধরে।

এই সংকট কাটিয়ে ওঠার পথে শহরটি পুনর্বাসন, বনায়ন এবং মানুষের সহনশীলতার এক নতুন অধ্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

0 comments:

Copyright © 2018 Info Bank