সংসদ নির্বাচন ২০১৮: যা আছে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে
· শিল্পায়নের জন্য ভৌত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
· আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা নিরসন করার জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা এবং আইন ও বিধিমালা সহজ করা হবে।
· আলোচনার মাধ্যমে ইউরোপ-আমেরিকায় গার্মেন্টসে কোটা বৃদ্ধি করা হবে। গার্মেন্টস পণ্যের মুল্য বৃদ্ধিতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হবে। বিভিন্ন দেশের স্থানান্তর করা গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশে স্থাপনে প্রণোদনা দেয়া হবে।
· কৃষিনির্ভর এবং শ্রমঘন শিল্পে বিশেষ উৎসাহ দেয়া হবে।
· দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ জেলাগুলোতে শিল্পায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।
· বিভিন্ন দেশের শিল্প স্থাপন উৎসাহিত করার জন্য আরও এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন স্থাপন করা হবে।
· দেশে-বিদেশে পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা নিয়ে আরও পাট শিল্প স্থাপন করা হবে। নতুন শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
১৬. শ্রমিক কল্যাণ
· দু'বছরের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার টাকা করা হবে।
· সকল খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হবে।
· খন্ডকালীন এবং পূর্ণকালীন গৃহকর্মীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং তাদের কাজের জন্য উপযোগী নীতিমালা তৈরি করা হবে।
· অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
· সকল ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
· গার্মেন্টসসহ অন্যান্য সকল শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
· স্বাস্থ্যবীমার মাধ্যমে শ্রমিকগণ মাসে ২৫০ টাকার প্রিমিয়ামের মাধ্যমে সকল চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। প্রিমিয়ামের ১০০ টাকা দেবেন শ্রমিক নিজে এবং ১৫০ টাকা দেবেন মালিকপক্ষ। ওষুধের অর্ধেক মুল্য শ্রমিককে বহন করতে হবে। রোগ নির্নয়, অপারেশন ও হাসপাতালে ভর্তি বাবদ শ্রমিকের অন্য কোনো খরচ লাগবে না।
১৭. ব্যাংকিং খাত, শেয়ার বাজার, বাজেট
· ব্যাংকিং খাতের এই বিশৃঙ্খলা এবং লুটপাটের কারণে এই খাতটি একেবারে ভেঙে পড়ার পর্যায়ে চলে এসেছে। অতি দ্রুত এখানে কঠোর ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সেক্টরের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে।
· এই সেক্টরে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। খেলাপি ঋণ আদায়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ঋণ আদায় করা হবে।
· ব্যাংকগুলোকে পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হবে। এই উদ্দেশ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন ব্যাংকিং বিভাগ বিলুপ্ত করা হবে।
· সরকারি মদতে লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে কিছু মানুষ বিপুল পরিমাণ টাকা বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। এই লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
· সঠিক ব্যবস্থা এবং প্রণোদনার মাধ্যমে শেয়ার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে শেয়ার বাজারকে তার সঠিক গতিপথে নিয়ে যাওয়ার সব ব্যবস্থা খুব দ্রুত নেয়া হবে।
· ধনী-তোষণের বাজেটের পরিবর্তে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়া হবে। নিম্ন আয়ের মানুষদের সুরক্ষা দেয়ার প্রয়োজনে জাতীয় বাজেটে পরোক্ষ করের (ভ্যাট, সম্পুরক কর) হিস্যার পরিমাণ কমানো হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাজেটে আয়করের হিস্যা ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে।
· আয়কর দেয়ার পদ্ধতি আরও সহজ করা হবে। করযোগ্য ন্যুনতম আয়ের সীমা বাড়ানো হবে। পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের মানুষদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
· সম্পত্তি করকে যৌক্তিক করায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
· বাজেট এবং বানিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষের মাথাপিছু ঋণ কমিয়ে আনার জন্য বাজেটে ব্যবস্থা থাকবে।
১৮. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি
· বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করার নামে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বছরের পর বছর চালিয়ে মানুষকে অত্যন্ত ব্যয়বহুল দামে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাবার সাথে সাথে অতি ত্বরিত গতিতে কুইক রেন্টাল বিদ্যুতকেন্দ্রের ইনডেমনিটি বাতিল করে এই খাতের সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেসরকারি খাত থেকে সকল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি রিভিউ করে মূল্য যৌক্তিক করা হবে।
· কয়লা এবং গ্যাসভিত্তিক বৃহদায়তনের নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন এবং গ্যাস ভিত্তিক বর্তমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ওভারহোলিং করে সেগুলো সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ৩ বছরের মধ্যেকুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে। এতে বিদ্যুতের দাম সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।
· সস্তা দামে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার আগে বিদ্যমান অবস্থায়ও প্রথম বছরে সকল গ্রাহকের জন্য বিদ্যুত এবং গ্যাসের দাম বাড়বে না। সর্বোচ্চ ১০০ ইউনিট ব্যবহারকারী দের বিদ্যুতের মূল্য আগামী পাঁচ বছরে বাড়বে না।
· গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং দেশের সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতালকে বানিজ্যিক দামের পরিবর্তে হ্রাসকৃত বাসস্থানের দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
· পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পূনর্মূল্যায়ণ করা হবে।
· ভারত, নেপাল, ভূটান এর সাথে বিদ্যুৎখাতে আঞ্চলিক সহযগিতার মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।
· স্থলভাগ এবং সমুদ্রসীমায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্যাস অনুসন্ধান করা হবে। খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাপেক্স, বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানী ও সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানীকে একীভূত করে প্রয়োজনীয় মূলধন যোগান দিয়ে জাতীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যপক হারে বৃদ্ধি করা হবে। এই কোম্পানীর সরবরাহের দর হবে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে প্রতিযোগীতামূলক।
· বিইআরসি এর পরিচালক নিয়োগের পূর্বে তাদের তথ্য জনসন্মুখে প্রকাশ করা হবে এবং ভোক্তাদেরও দুইজন প্রতিনিধি বিইআরসি এর পরিচালকের পদে নির্বাচিত হবেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর সকল উৎপাদন ও আমদানী ব্যয় বিস্তারিতভাবে বিইআরসি এর গণশুনানীতে উপস্থাপিত হবে।
· নবায়নযোগ্য জ্বালানি সৌর বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ ইত্যাদিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নতুন জ্বালানি নীতি প্রণয়ন করা হবে।
১৯. সামাজিক নিরাপত্তা
· গত দশ বছরে সরকারের নীতির কারণে সৃষ্ট ভয়ংকর বৈষম্য দূর করার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে অনেক বেশি শক্তিশালী করা হবে।
· এই খাতে জিডিপি’র অনুপাতে বাজেট আগামী ৫ বছরে ধাপে ধাপে বর্তমানের ৩ গুন করা হবে।
· অতি দরিদ্র এবং দুঃস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করা হবে।
· বয়স্ক ভাতা, দুঃস্থ মহিলা ভাতা বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তাদের ভাতার পরিমাণ এবং আওতা বাড়ানো হবে।
· শ্রমিক ও ক্ষেতমজুরসহ গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভ মূল্যে রেশনিং চালু করা হবে।
· পুনর্বাসন ছাড়া শহরের বস্তি বাসী ও হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাড়ার মাস্তান এবং পুলিশের চাঁদা আদায় করা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে।
· শহরাঞ্চলে গরীব মানুষের জন্য স্বল্প মূল্যে বসবাসের জন্য সরকারি উদ্যোগে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
· হতদরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
· বেদে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা হবে এবং তাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় আনা হবে।
· শারীরিকভাবে সক্ষম ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা করা হবে এবং বৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভিক্ষুকদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় আনা হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ভিক্ষাবৃত্তিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া হবে।
· ছিন্নমূল শিশুদের কল্যাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
২০. বায়োবৃদ্ধ
· (৬৫ ঊর্ধ্ব) সকল বয়োবৃদ্ধ অর্ধেক দামে সকল যানবাহনের ভ্রমণের সুবিধা পাবেন। বিনা ফি তে তারা পার্ক, চিড়িয়াখানা, চিত্রশালা, যাদুঘর পরিদর্শন করতে পারবেন।
· শিক্ষিত বয়োবৃদ্ধদের জন্য ন্যুনতম ভাতা রেখে অবৈতনিক খন্ডকালীন কর্মসংস্থান হবে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং সামাজিক মূল্যবোধের উন্নতির নিমিত্তে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায়। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্কুলে তারা পরীক্ষকের দায়িত্বও পালন করবেন।
· সকল বয়োবৃদ্ধ মাসিক ২০০ টাকায় জাতীয় স্বাস্থ্যবীমার আওতায় শুধুমাত্র ওষুধ ছাড়া অন্য সব চিকিৎসা ও পরিসেবা বিনা খরচে পাবেন। তাঁরা ওষুধ পাবেন অর্ধেক দামে।
· সারাদেশে ক্রমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বৃদ্ধনিবাস নির্মান করা হবে এবং স্থানীয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় এগুলো পরিচালিত হবে। বয়োবৃদ্ধদের নিজ পরিবার বা আত্মিয়-স্বজনের সাথে রেখে জীবনযাপনের জন্যও উৎসাহিত করা হবে।
· বেসরকারি চাকুরিজীবিদের অবসর ভাতা দেয়া হবে। আয়কর প্রদানকারী সকল নাগরিক তাদের প্রদত্ত আয়করের এক-তৃতীয়াংশ পেনশনের মাধ্যমে ফেরত পাবেন।
২১. নারীর নিরাপত্তা এবং ক্ষমতায়ন
· সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হবে। তবে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার বাধ্যবাদকতা থাকবে। আগামী দুই নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসন প্রত্যাহার করে সংসদে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নারীর সংখ্যা ন্যূনতম ২৫ শতাংশ উন্নীত করা হবে।
· কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সকল নারীর ওপর বাচিক কিংবা শারীরিক যৌন হয়রানি ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। যৌতুক পুরোপুরি বন্ধ করা হবে।
· কোনো বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়াই বিয়ের ক্ষেত্রে নারীর বয়স ১৮ তে পুনঃনির্ধারন করা হবে।
· সরকারি চাকুরীতে যোগ্য নারীর উপযুক্ত পদে পদায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা হবে। নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ আরো বাড়ানো হবে।
· সরকারি পর্যায়ে কর্মজীবী নারীদের সুবিধার জন্য পর্যাপ্ত ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে। বেসরকারি ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করার ক্ষেত্রে খুব সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে।
· নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে।
২২. নিরাপদ সড়ক, যাতায়াত এবং পরিবহন
· কিছুদিন আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশু-কিশোররা যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে তাদের দাবিকৃত ৯ দফা দাবির আলোকে সড়ক আইন সংশোধন করা হবে।
· নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপরে নৃশংস হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।
· বড় শহরগুলোতে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনকল্পে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
· সড়ক দুর্ঘটনা ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সব রকম ব্যবস্থা অত্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেয়া হবে।
· শহরে গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবহন নীতি প্রণয়ন করা হবে এবং মানুষের জন্য আরামদায়ক গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে।
· রেল খাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রসারণ করা হবে।ঢাকার সাথে বড় শহরগুলো উচ্চ গতির ট্রেন এর মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। দেশের সবগুলো জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। শুধু যাত্রী নয়, পণ্য পরিবহনেও রেল খাতকে অগ্রাধিকার দেয়ায় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
· দেশের নৌ-পথগুলো পুনরুদ্ধারে আইনগত এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
· সোনাদিয়ায় গভীর সমূদ্রবন্দর তৈরি করা হবে। চট্টগ্রাম, মোঙলা এবং পায়রা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দ্রুত প্রকল্প নেয়া হবে।
· বাংলাদেশ বিমানকে সম্প্রসারণ এবংলাভজনক করে তোলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেসরকারি বিমান সংস্থা প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনাকে উৎসাহ দেয়া হবে।ঢাকায় নতুন কোনো বিমানবন্দর স্থাপন করা হবে না। নতুন রানওয়ে, নতুন টার্মিনাল নির্মান করে বর্তমান বিমানবন্দরটিকে ভবিশ্যতের জন্য উপযোগী করে তোলা হবে।
২৩. প্রবাসী কল্যাণ
· প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে।
· সকল দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী কর্মীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হবে।
· দূতাবাসে প্রবাসী কর্মীদের প্রতি কোন ধরনের অসহযোগিতার অভিযোগ পেলে সেটার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
· অদক্ষ শ্রমিকের জায়গায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে শ্রমিকদের বিদেশে পাঠানো হবে।
· প্রবাসী কর্মীরা দেশে ফিরে আসার পর তাদেরকে বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
· প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেয়া হবে এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো হবে।
· ইউরোপ, জাপানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শ্রমশক্তির রপ্তানির জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করা হবে।
· মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী কর্মীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে মরদেহ সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে আনা হবে এবং বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে।
· বিদেশে বসবাসকারী অসাধারণ ক্যারিয়ারের মানুষদের দেশে কাজ করতে উৎসাহিত করা হবে। সেই ক্ষেত্রে তাদের আকর্ষনীয় বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।
২৪. গণমাধ্যম
· একটি স্বাধীন প্রেস কাউন্সিলের অধীনে সকল প্রকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।
· সাংবাদিকদের মজুরি বোর্ড নিয়মিত করা হবে।
· ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমকে উৎসাহিত করা হবে। এসব ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
· ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণের জন্য নতুন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হবে।
· সংবাদপত্রকে শিল্প ঘোষণা করা হবে এবং এতে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেয়া হবে।
· সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার করা হবে।
· সাম্প্রতিক নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ সকল ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক নিগ্রহের বিচার হবে।
· কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া হবে।
২৫. ডিজিটাল প্রযুক্তি
· মোবাইলের কলরেইট কমানো হবে।
· মোবাইলের ইন্টারনেট এর খরচ কমানো হবে। দেশের প্রতিটি প্রান্তে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি নিশ্চিত করতে মোবাইল অপারেটরদের বাধ্য করা হবে।
· দেশের বিভিন্ন গণজামায়েত এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিনামূল্যে ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা করা হবে।
· সারা দেশে আরও আইটি পার্ক স্থাপন করা হবে।
· সারা দেশের ভূমি রেকর্ড পুরোপুরি ডিজিটাল করা হবে।
· ই-গভর্নেন্স এর ব্যপ্তি বাড়ানো হবে।
· কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, ন্যানো টেকনোলজি ইত্যাদি ভিত্তিক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে এবং প্রয়োজনীয় কর্মী প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে।
· সঠিক কক্ষপথে নতুন স্যাটেলাইট প্রেরণ করা হবে।
২৬. সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিবাদ
· সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদ এর প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হস্তে দমন করবে।
· জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে এসব বিষয়ে ছাত্রদের শিক্ষা পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং সমাজের সব শ্রেণীর জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দেশের আলেম-ওলামাদের দ্বারা মোটিভেশন প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
২৭. ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
· সংখ্যালঘুদের মানবিক মর্যাদা অধিকার নিরাপত্তা এবং সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
· সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ন্যূনতম ঘাটতি খুব গুরুত্বের সাথে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
· সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোনো রকম হামলার বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে।
· পাহাড় এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সংস্কৃতি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।
· ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
২৮. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
· দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলো কে রাজনীতির বাইরে পেশাগতভাবে গড়ে তোলা হবে।
· ক্রিকেটকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
· দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত ফুটবলকে আবার তার পুরনো মর্যাদায় ফিরিয়ে আনা হবে। রাষ্ট্রীয় আয়োজনে থানা পর্যায় পর্যন্ত ফুটবল লীগ আয়োজিত হবে। স্কুলে ফুটবলের চর্চা বাড়ানো হবে।
· সারাদেশের স্টেডিয়ামগুলোকে খেলার উপযোগী করা হবে এবং নতুন খেলার মাঠ এবং স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে।
· শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ক্রীড়া সংগঠনগুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে ক্রীড়া সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষক নিয়োগ করা হবে। বিভিন্ন খেলায় নারীদের অংশগ্রহণ ও উৎসাহ দেয়ার জন্য মোটিভেশন কর্মসূচি নেয়া হবে।
· বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যেমন সংগীত, নাটক, চলচ্চিত্র, শিল্পকলা ইত্যাদি বিষয়ে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করবে। সরকারি অনুদানে আরও বেশি স্বল্প ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং তথ্যচিত্র তৈরি করা হবে।
· সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে সারা দেশের জেলা এবং থানা পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
· ভিন দেশীয় ক্ষতিকর সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে নাগরিকদের রক্ষা করায় দৃঢ় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষা এবং প্রসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৯. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
· গত ১০ বছর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কোন গুরুত্বই আমরা দেখতে পাইনি। বাংলাদেশের মত এত ক্ষুদ্র আয়তনের একটা দেশে এত বড় জনসংখ্যা আমাদের অসংখ্য সংকটের জন্য দায়ী। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কে আবার খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রাধিকারে পরিণত করা হবে।
৩০. জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ
· বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সেসব দেশের উপর সবচেয়ে বেশি পড়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
· বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধকল্পে বাংলাদেশ আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
· জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করার জন্য বাংলাদেশে আরও অনেক বেশি আন্তর্জাতিক সাহায্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে এবং সেটা সদ্ব্যবহার করবে।
· দেশের প্রাকৃতিক বন রক্ষার সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি আরো বড় পরিসরে চালানো হবে।
· পরিবেশ দূষণকারী কোন শিল্প-কারখানা চলতে দেয়া হবে না। এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ছাড়া কোন শিল্প কারখানা কাজ শুরু করতে পারবে না।
· নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দিয়ে বাতাসে বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণ কমানো হবে।
· শহরে গাড়ির হর্ন এবং অন্যান্য তীব্র শব্দের কারণে সৃষ্ট শব্দ দূষণ কঠোর হস্তে কমানো হবে।
· শহরের বর্জ্য বিশেষ করে হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত করা হবে।
৩১. বর্তমান সরকারের সময়ের উন্নয়ন প্রকল্প
· বর্তমানে চলমান কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করা হবে না, তবে বর্তমান সরকারের শেষ দুই বছরে তড়িঘড়ি করে নেয়া প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনা করার জন্য কমিটি গঠন করা হবে।বর্তমানে চালু থাকা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ব্যয় নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
· খুব ভাল অর্থনৈতিক উপযোগিতা ছাড়া বৈদেশিক ঋণ নির্ভর কোনো প্রকল্প গৃহীত হবে না।
৩২. মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা
· যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে।
· মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার চেতনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা হবে।
· সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
· মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ দের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।
· মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
৩৩. প্রতিরক্ষা
রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে একটি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করা হবে।
· সকল বিতর্ক এবং রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে একটি দক্ষ এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা বিষয়েই ডিজিএফআই এর কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ থাকবে। ডিজিএফআই, এনএসআই, এসএসএফ কোনো রকম রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্ত হবে না, কিংবা হস্তক্ষেপ করবে না।
· প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এবং অন্যান্য সব সরঞ্জাম অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কেনা হবে।
· জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ এর পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হবে।
· সশস্ত্র বাহিনী দিবসের রিসেপশন ক্যান্টনমেন্ট এর বাইরে শহরের নানা স্থানে আয়োজন করা হবে যেন সমাজের সকল শ্রেনিপেশার মানুষ সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারে।
· সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
৩৪. পররাষ্ট্রনীতি
· 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' নীতিতে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হবে।
· সার্ক সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং উপ-আঞ্চলিক জোট সমূহ আরো শক্তিশালী করা ভূমিকা রাখা হবে।
· সমতার ভিত্তিতে ভারতের সাথে সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী করায় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।
· নিকটতম অন্যতম প্রতিবেশি মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
· চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ এর যে সকল প্রকল্পে দেশের জন্য লাভজনক বিবেচিত হবে সেগুলোতে বাংলাদেশ যুক্ত হবে।
· মুসলিম দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে আলাদা আলাদা নীতির ভিত্তিতে সম্পর্ক উন্নয়ন করা হবে।
· তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা সহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হবে।
৩৫. অন্যান্যঃ
· দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করা হবে। সম্ভাব্য ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় সারঞ্জাম দ্রুত সংগ্রহ করা হবে।
· দেশের নানা প্রান্তে নতুন নতুন খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান এবং বর্তমানে প্রাপ্ত খনিজ সম্পদ উত্তোলনের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে উত্তোলন করা হবে।
· বঙ্গপোসাগরে নতুন ভূমি উদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।
0 comments:
Post a Comment